সময় জার্নাল প্রতিবেদক : কোভিড-১৯ আমাদের জীবন, সমাজ ও অর্থনীতি সবকিছুকেই আক্রমণ করেছে। এ আক্রমণে শিক্ষাব্যবস্থাও একধরণের পর্যুদস্ত অবস্থায় আছে। আগে আমাদের বাঁচতে হবে। আমাদের দেশের নাগরিককে, ছাত্রদেরকে বাঁচাতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে কবে পরিপূর্ণ স্বাভাবিক ক্লাস শুরু হবে এটা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেন না।
কোভিড-১৯ আমাদেরকে কিছু জিনিসে বাধ্য করবে। যেমন-ডিজিটাল বাংলাদেশ, অনলাইন এডুকেশন, ই-এডুকেশন, ই-ইউনিভার্সিটি। এ জিনিসগুলো সমসাময়িক দুনিয়ায় এমনকি এশিয়াতেই পরিচিত। এ অবস্থার অনেক উন্নতি হলেও কিন্তু আমাদের দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল যুগে এসে কম বেশি ই-এডুকেশনে ঝুঁকে যাবে। এখন আমাদের যা লস হচ্ছে তা নেগেটিভলি না নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে মোটামোটি দাঁড় করাতে বাংলাদেশকে আরও বেশি ই-এডুকেশন আলিঙ্গন করতে হবে।
শনিবার (১১ জুলাই) রাতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সময় জার্নালের নিয়মিত আয়োজন ‘সময় সংলাপ’ অনুষ্ঠানে আলোচকগণ এসব কথা বলেন। এবারের বিষয় ছিল ‘শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান চিত্র এখন কোন জায়গায়’।
সময় জার্নালের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি প্রচার হয়।
টিভি ব্যক্তিত্ব জামিল আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচক ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও এনবিইআর চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।
আলোচকগণ বলেন, ‘আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। সাধারণ একটা প্রস্তুতি নিয়ে বছর পাঁচ পরে আমাদের এর একটা রুপান্তর ঘটাতেই হতো। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা একরকম নয়। নানান ক্যাটাগরির বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কেউ সাধারণ, প্রযুক্তি ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। কোন বিশ্ববিদ্যালয় ৭৩ অধ্যাদেশে চলে আবার কোনটি বিশেষায়িত। সেজন্য একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কনটেক্সট এবং রিকোয়েরমেন্ট ভিন্ন রকমের। সে বিষয়গুলোকে মনে রেখেই ইউজিসিকে সমাধানে পৌঁছতে হবে।’
আলোচকগণ আরও বলেন, ‘শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করলেই চলবে না, শিক্ষক-কর্মকতা-কর্মচারীদের কথাও বিবেচনায় আনতে হবে এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ অধিকাংশ মানুষ এখনও এনালগ মাইন্ড সেটের মধ্যে রয়েছেন। সেজন্যই পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের বিকল্প নেয়।’
সময় জার্নাল/রায়হান তন্ময়