স্পোর্টস ডেস্ক: অবশেষে ১৩তম এসএ গেমসে (সাউথ এশিয়ান) স্বর্ণ পদক জয়ে নিজেদের আগের সাফল্য ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। সর্বশেষ স্বর্ণ পদকটি আসল ছেলেদের ক্রিকেট থেকে। সোমমবার (৯ডিসেম্বর) ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সৌম্য, আফিফ, শান্তদের সমন্বয়ে গড়া বাংলাদেশ দল।
এই জয়ে লাল সবুজ দলের স্বর্ণ পদকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ এ। আগে স্বর্ণের সংখ্যা ছিল ১৮টি। এসএ গেমসের ইতিহাসে এটি বাংলাদেশের সেরা অর্জন।
এক দিন আগেই মেয়েদের ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশকে স্বর্ণ পদক এনে দেন সালমা, জাহানারা আলমরা। মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ছেলেদের ক্রিকেট থেকে আসল স্বর্ণ পদক।
এদিন শ্রীলঙ্কার দেয়া ১২৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের ১১ বল হাতে রেখে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান তুলে নেয় টাইগাররা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাইফ হাসান ৩৩ ও সৌম্য সরকার করেন ২৭ রান। ১৯ রান করেন ইয়াসির আলী।
এর আগে নেপালের কীর্তিপুর ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ছেলেদের ক্রিকেটে ফাইনালে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১২২ রান সংগ্রহ করে লংকান দল।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালই শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কার ওপেনার পাথুম নিসানকা ও নিশান ফার্নান্দো। দুর্দান্ত এক থ্রোতে ৩৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের জাকির হাসান। ২২ রান করা নিসানকাকে রান আউট করেন তিনি।
এরপর জোড়া আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। এই তরুণ পেসার লাসিথ ক্রুসপুলি ও কামিন্দু মেন্ডিসকে সাজঘরে ফেরৎ পাঠান। সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি লঙ্কানরা। এক পর্যায়ে ৭০ রানে ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
তবে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শাম্মু আসান। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ২৫ রানের ইনিংস সর্বোচ্চ খেলেন তিনি। এছাড়া ফার্নান্দো ১৬ ও অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা করেন ১২ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। স্পিনার তানভীর ইসলাম ২৮ রানে ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন সুমন খান ও মেহেদী হাসান।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে ১৮টি স্বর্ণ পদক জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার ১৯টি স্বর্ণ পদক জিতে আগের রেকর্ড ছারিয়ে গেল বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। পাশাপাশি দেশের বাইরে এসএ গেমসে বাংলাদেশের এটাই সেরা সাফল্য।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ