আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে এপ্রিলে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ৫৭ সদস্য দেশের এই সংস্থার বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান।
দ্য হিন্দু জানায়, তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে ওআইসির বিকল্প সম্ভাব্য সংগঠন ঠেকাতে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের বৃহত্তর সম্পর্কের অংশ হিসেবে এ সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে সৌদির সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সউদের বৈঠকের পর এ ঘোষণা আসলো।
পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি- ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে ওআইসিকে শক্ত বক্তব্য দিতে হবে।’
পাকিস্তান রেডিও জানায়, ‘অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং ভারতে মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন পাসের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশগুলোর সংস্থা ওআইসির সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা আলোচনা করেছেন।’
আগামী ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ইসলামাবাদে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
অবশ্য ওআইসি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের ঘোষণা আসার আগে এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সম্প্রতি কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়া, তুরস্ক, ইরান, কাতার ও ইন্দোনেশিয়ার অঘোষিত জোটের তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের পর কাশ্মীর নিয়ে নড়েচড়ে বসে সৌদি। ওই সম্মেলনটিতে কাশ্মীর, উইঘুর, ফিলিস্তিনসহ মুসলিমদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক ও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ওআইসির ব্যর্থতায় পাকিস্তানের সমর্থন আদায় করতেও সক্ষম হয়েছিল কুয়ালালামপুর সম্মেলন। যদিও সৌদি আরবের চাপে শেষ মুহূর্তে এসে সম্মেলনটিতে যোগ দেয়নি পাকিস্তান।
এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার একদিনের সফরে ইসলামাবাদ আসেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সউদ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন তিনি।
সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের আশঙ্কা ওআইসির বিকল্পে তুরস্ক-মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে মুসলিমদের নতুন একটি জোট হতে যাচ্ছে।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ