স্টাফ রিপোর্টার : দেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে এবং সারা দেশ দুর্নীতিতে ভরে গেছে বলে বর্তমানে যে আলোচনা চলছে যার দুটিই আমাদের জন্য অস্বস্তিকর ও সুখকর নয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, কঠিন হলেও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে সরকারকেই।
তিনি বলেন, দুর্নীতি বাড়ছে, দুর্নীতি কমছে- এসব বলে তো কোনো ফল পাওয়া যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছে সরকার। এটি নির্বাচনী অঙ্গীকারও বটে। এর থেকেই প্রতীয়মান হয় দেশে দুর্নীতি আছে। আর সম্প্রতিকালে রুপপুরের ঘটনাই প্রমান করে দুর্নীতি নামক ব্যাধি কতটা ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নরসিংদী জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি আজ ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাধিটি এমন একপর্যায়ে ছড়িয়ে ব্যাপকতর ও ঘোরতর হয়েছে যে আমাদের ‘উন্নয়নকেই’ খেয়ে ফেলে এমন অবস্থা। দুনীতি আমাদের ‘জিডিপি’ প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমাদের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করছে। জনগন এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে সোচ্চার হচ্ছে। একটিকে দুর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করতে হবে। মনে রাখতে হবে দুর্নীতি রোধ সরকারের পক্ষে এককভাবে দূর করা সম্ভব নয়। দরকার সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন।
তিনি আরো বলেন, সমস্যা হচ্ছে, সমাজ ধীরে ধীরে দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের প্রশ্রয় দিয়ে ফেলছে। সমাজ তাদের গ্রহণ করে নিচ্ছে। আজ সমাজে বিদ্বান লোকের কোনো সমাদর নেই। আগের দিনে সমাজ শ্রদ্ধা করত বিদ্বান ব্যক্তিদের। আজ সমাজ সমীহ করে টাকাওয়ালাদের, বিত্তশালীদের- তাদের টাকার উৎস যাই হোক না কেন।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, শুধু দুর্নীতি আছে, দুর্নীতি বাড়ছে, দুর্নীতি কমছে বললেই হবে না। তার প্রতিকারের পথটি বলতে হবে সবাইকে। রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজকে ‘মেসেজ’ দিতে হবে এবং দৃঢ়ভাবে সবাইকে বুঝিয়ে দিতে হবে- দুর্নীতিলব্ধ সম্পদ, টাকা-পয়সা ভোগ করা যাবে না।
জেলা সমন্বয়কারী এহসানুল হকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম, তাইজুদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী সদস্য রাফিয়া খাতুন, শামসুর রহমান মোল্লা, আবদুল হাই প্রমুখ।
সজা/এমএম
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ