করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে মাত্র দু’দিনে ১ হাজার শয্যার নতুন হাসপাতাল বানালো চীন। শত শত প্যারামিলিটারি শ্রমিক ও স্বেচ্ছাসেবীদের চেষ্টায় মাত্র ৪৮ ঘন্টায় উহানের কাছাকাছি ‘ড্যেবি মাউন্টেইন রিজিওনাল মেডিকেল সেন্টারটি’র নির্মাণ সম্পন্ন হয়। এরপরই গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মেডিকেল সেন্টারটিতে রোগী স্থানান্তর করা হয়েছে। সূত্র : ডেইলি মেইল ইউকে।
খবরে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে জরুরী ভিত্তিতে চীনে এ ধরনের মোট ৩টি হাসপাতাল নির্মাণ করছে। এরমধ্যে ২টি উহানে এবং অপরটি জিংজুয়াং শহরে।
ইতোমধ্যে দেশটিতে ভয়াবহ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৩১ জনের প্রাণহানী ঘটেছে । আক্রান্ত হয়েছেন আরো হাজার হাজার মানুষ।
এর আগে ২০০৩ সালে বেইজিংয়ের আশপাশে সিভিয়ার অ্যাকুইট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্স ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতেও নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ। সে সময় ভাইরাসটির আক্রমণে চীনের মূল ভূ-খণ্ডে প্রায় সাড়ে তিনশ ও হংকংয়ে প্রায় তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়।
বেইজিংয়ে সেসময় যে কাঠামোতে হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়, এবারও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নতুন হাসপাতালটি একই কাঠামোতে নির্মাণ হবে।
এরইমধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে চীনের অন্য অঞ্চলসহ থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবাই সম্প্রতি উহান ভ্রমণ করেছেন বা সেখানে বসবাস করেন।
এ ভাইরাস মানুষের ও প্রাণীদের ফুসফুস সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা বা ফ্লু’র মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস।
এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ