আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দিশেহারা চীনা সরকার। এ ভাইরাসে চীনের হুবেইপ্রদেশেই বুধবার প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭০ জন।
এ নিয়ে চীনের মূল ভূখণ্ড ও এর বাইরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৬৪ জনে। বুধবার চীনে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৯৮৭ জন। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।
এখন পর্যন্ত চীনে প্রতিষেধকবিহীন এই ভাইরাসে ২৭ হাজার ৩৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চীনসহ সারাবিশ্বে এ সংখ্যা ২৭ হাজার ৬০২। বিশ্বের ২৮ দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
হুবেইপ্রদেশে এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪৯ জনে। হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হুবেইয়ে ১৪ হাজার ৩১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৭৫৬ জনের অবস্থা গুরুতর।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এখন পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত দুজন। মঙ্গলবার হংকংয়ে ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। তিনি কিছু দিন আগেই করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহর থেকে ফিরেছিলেন। এর আগে গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে মারা যান উহানফেরত আরও একজন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেইপ্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মহামারীর আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে চীন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়া এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
বিশ্বের অনেক দেশই এ ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন থেকে আগতদের অনঅ্যারাইভাল ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বেশিরভাগ এয়ারলাইনস কোম্পানি চীনগামী ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ভাইরাসের নাম দিয়েছে- ২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ