নিউজ ডেস্ক: কোচিং বাণিজ্য নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার পিংকি আক্তার ও ক্যামেরা পারসন মনজুর রহমান মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে আজিমপুরের চায়না গলিতে অগ্রগামী কোচিং সেন্টারে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার সহকারী শিক্ষক কানিজ ফাতেমা ও তার লোকজন এ ঘটনা ঘটায়।
শনিবার (২ নভেম্বর) থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা উপলক্ষে দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার পরিচালনা নিষিদ্ধ রয়েছে। সরকারের এই নির্দেশ অমান্য করে আজিমপুর শাখার সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) কানিজ ফাতেমা নিয়মিত কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
সময় টেলিভিশনের প্রতিবেদক পিংকি আক্তার বলেন, কোচিং বন্ধ থাকার পরও কানিজ ফাতেমা নিয়মিত কোচিং বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। এই ঘটনার একটি প্রতিবেদন করতে আজিমপুরে আগ্রগামী কোচিং সেন্টারে যাই।
সেখানে তার বক্তব্য নিতে গেলে প্রথমে দৌড়ে পালিয়ে যান। কয়েক মিনিটের মধ্যে তার লোকজন ও মেয়েকে নিয়ে আসেন। আমাদের মারধর করতে করতে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেওয়া হয় এবং ক্যামেরাও ভেঙে ফেলা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফওজিয়া রেজওয়ান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনা জানার পর সঙ্গে সঙ্গেই আজিমপুর শাখার প্রধানকে ঘটনাস্থলে যেতে বলা হয়েছে।
এই ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম।
ফেরামের সভাপতি মোস্তফা মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আববাস যৌথ বিবৃতিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। ক্যামেরা ভেঙে ফেলায় ভিকারুননিসার কাছে ক্ষতি পূরণ দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খানকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ