দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর বিচারে আদালত বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারেই এ আদালত বসানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে খালেদা জিয়া দণ্ডিত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে খালেদা জিয়া মামলাদুটোয় দণ্ডিত হয়ে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি রয়েছেন। গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এতদিন পুরনো কারাগারে আদালত বসিয়ে খালেদা জিয়ার মামলার বিচার কাজ চলছিল। এখন তা কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা হবে।
গত রোববার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় খালেদা জিয়ার বিচারে আদালত স্থানান্তরে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে বলে সোমবার (১৩ মে) জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনের অস্থায়ী আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলাসহ অন্য মামলাগুলোর বিচারকাজ হবে। নাইকো দুর্নীতি মামলা ছাড়াও রাজধানীর দারুস সালাম থানার নাশকতার ৮ মামলা, যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাসে অগ্নিকাণ্ডের মামলা এবং মানহানির অভিযোগে করা তিনটি মামলার বিচারে ঢাকার জজ আদালতের একটি এজলাস বসবে কেরানীগঞ্জের কারাগারে।
কৌঁসুলি বলেন, এগুলো ছাড়া আরও কয়েকটি মামলার বিচার ওই আদালতে হবে। বিএনপি বরাবরই বাইরে আদালত বসিয়ে বিচারের বিরোধিতা করে আসছে। পাশাপাশি পুরনো কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে রেখে ৭৪ বছর বয়সী খালেদাকে আরও অসুস্থ করে ফেলা হচ্ছে বলে দলটির নেতারা অভিযোগ করে আসছেন। এক বছর ধরে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে বন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে তিন বছর আগে চালু হওয়া কেরানীগঞ্জের কারাগারে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথা সম্প্রতি জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারটি জাদুঘরে রূপান্তরের কাজ শুরু হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে বিএনপি এরও বিরোধিতা করে আসছে।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ