চাঁদপুর করেসপন্ডেন্ট: চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে শনিবার সকালে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে চাঁদপুরে শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত হয়নি। এদিকে সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং বলগেট, ড্রেজার ইত্যাদি ছোট নৌযানগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। বিভিন্ন চরাঞ্চলে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবের কারণে চাঁদপুর থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চসহ সকল ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে বিআইডাব্লিউটিএ চাঁদপুর কর্তৃপক্ষ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিআইডাব্লিউটিএ চাঁদপুরের বন্দর ও পরিহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য বিআইডিব্লউটি এ চাঁদপুর কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। চাঁদপুরকে ৯ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনে ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলার কারণে যে সকল সরকারি কর্মকর্তা ছুটিতে আছেন, তাদের অবিলম্বে স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫৮টি মেডিকেল টীম, স্থানীয় স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাতো আছেনই।
এছাড়াও জেলার ৮ টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও নেতৃত্বে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/ মনিরুজ্জামান বাবলু
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ