সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চাঞ্চল্যকর শিশু তুহিন হত্যা মামলার একমাত্র শিশু আসামী শাহরিয়ারকে ৮ বছরের আটকাদেশের রায় দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.জাকির হোসেন এ রায়ের আদেশ দেন।
আসামীর ১৮ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামীকে টঙ্গির কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হবে। ১৮ বছর পূর্ন হওয়ার পর আসামীকে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরন করা হবে বলে জানান আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৩ই অক্টোবর রাত আনুমানিক ৩ টার সময় দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের ৫ বছরের শিশু তুহিন নির্মম হত্যাকান্ডে স্বীকার হয়।
ঘটনার রাত তুহিন তার বাবা আব্দুল বাছিরের সাথে ঘুমিয়ে ছিল। ঘুম থেকে তুলে নিয়ে তুহিনকে তার বাবা, চাচা, চাচাত ভাই শাহরিয়ার মিলে তার কান ও পুরুষাঙ্গ কেটে কদম গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখে। এ সময় তার পেটে দুইটি চাকু ঢুকানো ছিল।
মোছাঃ মনিরা বেগমের এজাহার অনুযায়ী সে এ নৃশংস খুনের কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জবানবন্দি প্রদান করে এবং শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে পুলিশ বিগত ৩০.১২.২০১৯ খ্রিঃ তারিখে দোষীপত্র আদালতে দাখিল করে।
সেই প্রেক্ষিতে আদালত ৭ কার্যদিবসে ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমানিত হওয়ায় আসামি শাহরিয়াকে ৮ বছরের আটকাদেশের রায় দিয়েছে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি পাবলিক প্রসিকিউটর নান্টু রায় বলেন, মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে শাহরিয়া আহমদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এবং সে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে আট বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। ১৮ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত সে সেইফ হোমে থাকবে। পরে তাকে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
সময় জার্নাল / সালেহ আহমেদ
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ