নিউজ ডেস্ক: চেকপোস্টে তল্লাশির সময় এক মোটরসাইকেল আরোহীর শরীর থেকে ৩৫০ পিস ইয়াবা পায়। পরে ইয়াবাগুলো রেখে দিয়ে আরোহীকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। ইয়াবাগুলো বিক্রি করে পুলিশ সদস্যরা টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। এ রকম ইয়াবা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি করতে গিয়ে রাজধানীর উত্তরায় ১ম আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ব্যারাক থেকে ৫ পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গুলশানার থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী, ১ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল, নায়েক মো. জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল মো. রনি মোল্লা ও কনস্টেবল মো. শরিফুল ইসলাম। রোববার বিকেলে তাদেরকে গ্রেফতারের পর সোমবার আদালতের মাধ্যমে কনস্টেবল প্রশান্ত, এএসআই মাসুদ ও নায়েক জাহাঙ্গীরকে ৩ দিন এবং কনস্টেবল রনি ও শরিফুলকে ২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, রোববার বিকেলে ১ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এসআই আবু জাফর সঙ্গীয় ফোর্সসহ দক্ষিণ খান থানার হাজী ক্যাম্প এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে জানতে পারেন উত্তরার ১ম এপিবিএন ১ নম্বর ব্যারাক ভবনে পুলিশ সদস্যরা ইয়াবা ভাগ বাটোয়ারা করছে। বিকেল চারটায় ব্যারাক ভবনে পৌঁছে প্রশান্ত, রনি ও শরিফুলকে পায়। তখন তাদের দেহ তল্লাশি করে প্রশান্তের ফুল প্যান্টের পকেট হতে ১৫৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন। প্রশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদে তার ব্যবহৃত ট্রাংক হতে আরও ৩৯৪ পিস ইয়াবাসহ মোট ৫৫২পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কনস্টেবল শরিফুলের হেফাজত হতে ইয়াবা বিক্রির ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। শরিফুল জানায় যে সে কনস্টেবল রনির কাছ থেকে ১৮ হাজার ৫শ’ টাকায় ১৫০ পিস ইয়াবা ক্রয় করেছে।
গ্রেফতার প্রশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার গুদারাঘাট এলাকায় চেক পোস্টে ডিউটি করাকালীন একটি মোটরসাইকেলকে সিগন্যাল দেয় এবং সন্দেহ হলে তল্লাশি করে মোটরসাইকেল আরোহীর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে তারা ইয়াবা রেখে মোটরসাইকেল আরোহীকে ছেড়ে দেয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা হতে এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী ২০০পিস এবং নায়েক জাহাঙ্গীর আলম ১৫০পিস ইয়াবা নিজের কাছে রেখে দেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়। গ্রেফতারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে, আদালত ৩ জনের ৩ দিন করে এবং বাকি ২ জনের ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ