মো. মঈন উদ্দিন রায়হান, ময়মনসিংহ : জেলার হালুয়াঘাটে গত বুধবার ফিরোজা বেগম (৫০) নামে এক নারী খুন হয়েছেন। এলাকাবাসী বলছেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে সাদিকুল (২২) দা দিয়ে কুপিয়ে তার মাকে খুন করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাদিকুল ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার ছোট। গত ৩ বছর ধরে সে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় তার পরিবারের সঙ্গে উপজেলার বিলডোরা ইউনিয়নের উত্তর কৈলাডি গ্রামে থাকেন।
নিহত ফিরোজার বড় ছেলের স্ত্রী প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াসমিন বলেন, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে আমার শাশুড়ি রান্না ঘরে মাছ কাটছিলো। হঠাৎ আমার দেবর সাদিকুল রান্না ঘরে প্রবেশ করে শাশুড়ির কাছ থেকে মাছ কাঁটার দা নিয়ে তাকে কুপাতে থাকেন। তখন আমি এগিয়ে গেলে আমার দিকেও দা নিয়ে তেরে আসেন। তখন আমার চিৎকারে সবাই এগিয়ে এলে সাদিকুল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।
এদিকে, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হত্যাকারী ঘাতক মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে সাদেকুলকে পার্শ্ববর্তী ধানের ক্ষেত থেকে আহত অবস্থায় আটক করে পুলিশ। মাকে হত্যার পর সে নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে বলে জানায় পুলিশ। তার গলায় ও মাথায় গুরুতর দা’য়ের আঘাতের ক্ষত রয়েছে।
গুরুতর জখম অবস্থায় সাদেকুলকে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকগণ বলছেন তার গলার ক্ষতটি খুবই গুরুতর। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি। বর্তমানে সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এবিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সময় জার্নাল/আরইউটি/
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ