জবি প্রতিনিধি : রক্তের বিনিময়ে রাষ্ট্র ভাষার অধিকার অর্জন আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সূত্র ধরে এখন সারা বিশ্বেই ভাষা ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাার প্রতীক হয়ে উঠেছে শহীদ মিনার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শহীদ মিনারকে অক্টোপাসের সাথে সাদৃশ্য হিসেবে উল্লেখ করে নতুন আদলে স্থাপনের দাবিতে গত সোমবার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেয় জবির একদল শিক্ষার্থী।
শহীদ মিনারকে অক্টোপাসের সাথে তুলনা ও নতুনকরে স্থাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, নতুন করে শহীদ মিনার নয় বরং শহীদ মিনারের সামনে ন্যামপ্লেট লাগিয়ে দিলেই সবাই বুজতে পারবে এবং সেভাবেই তারা এর সম্মান করবে। কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের আদলে স্থাপনের দাবিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মুত্তাকি বলেন,শহীদদের সাথে অক্টোপাস একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। অক্টোপাসের সাথে শহীদ মিনারকে তুলনা করলে শহীদদের অসম্মান করা হয়। নতুন আদলে শহীদ মিনার নয় বরং একটি স্বতন্ত্র আদলে যেমন অন্য শহীদ মিনারগুলোর সাথে মিলে না যায় এমন একটি শহীদ মিনার করতে পারে। তবে বর্তমান শহীদ মিনারের নকশা পরিবর্তন করতে হলে যিনি এটার নকশা করেছেন অবশ্যই তারঅনুমতির প্রয়োজন আছে। যদি তা না করা হয় তাহলে শিল্পীকে অসম্মান করা হয়। শহীদ মিনারের সামনে যেন একটা মুক্তমঞ্চ করা হয়। যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের মুক্ত চিন্তা চর্চা করতেপারে।
শহীদ মিনারকে অক্টোপাসের সাথে তুলনা করে মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়া ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন,‘অক্টোপাসের সাথে তুলনা করার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। শহীদ মিনারকে দেখে চিনতে না পারার কারণে অনেকেই এটার উপর উঠে আড্ডা দেয় ও জুতা নিয়ে উঠে। এ জন্যই নতুন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মাণের দাবি জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘শহীদদের সম্মান অক্ষুন্ন থাকে এমন একটা শহীদ মিনার হওয়া উচিত।অনেকেই এটা বুজতে পারেনা এটা শহীদ মিনার।’
নতুন আদলে তৈরি হবে কিনা ও সামাজিক যোগাযোগে শিক্ষার্থীদের মিশ্রপ্রতিক্রিয়া নিয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘নতুন করে শহীদ মিনার করতে হলে বর্তমান শহীদ মিনারের নকশা যিনি করেছেন তাঁর অনুমতির প্রয়োজন আছে। নতুন করে করবো কিনা এটা নিয়ে আমরা বসবো।
সামাজিক যোগাযোগে ক্ষোভের বিষয়ে বলেন, যারা প্রকাশ করছে তাদের কাছেই জিজ্ঞাসা করো কেন তারা ক্ষোভ প্রকাশ করছে।’
সময় জার্নাল/
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ