জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরে সদর উপজেলায় চকলেট ও আচারের লোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে নিজাম উদ্দিন (৫০) নামে এক মুদি দোকানি।
৮ মার্চ বিকেলে জামালপুর সদরের রশিদপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই স্কুলছাত্রীর নানী সালেহা বেগম। তবে অভিযুক্ত ধর্ষক নিজাম উদ্দিন পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। পলাতক থাকলেও তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৮ মার্চ বিকেলে সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া এলাকায় নিজাম উদ্দিনের মুদির দোকানে যায় দ্বিতীয় শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী।
এসময় স্কুল ছাত্রীকে চকলেট ও আচারের লোভ দেখিয়ে দোকানের পাশে রশিদপুর ভাটিপাড়া পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে নিজাম উদ্দিন।
ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীকে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর কথা বলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ধর্ষক নিজাম।
এরপর ১০ মার্চ রাতে ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে বুধবার দুপুরে স্কুলছাত্রীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন এলাকাবাসী।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সানজিদা ইসলাম জানান, সাত বছর বয়সী মেয়েটিকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। মেয়েটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নারায়াণপুর তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক মো. আ: আলীম জানান, বুধবার সকালে মেয়েটির নানী সালেহা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার একমাত্র আসামী একই এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। তাকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।
ধর্ষণের শিকার দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রীর মা ঢাকায় অন্যের বাসায় কাজ করায় নানীর সাথে নিজ বাড়িতে থাকতো মেয়েটি।
মো. ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ