সময় জার্নাল প্রতিবেদন : ঢাকা উত্তর সিটিতে নির্বাচনি জনসংযোগে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে রিটার্নিং অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনি প্রচারণায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের হামলার অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তের পরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সংবাদিকদের একথা জানান নির্বাচন কমিশন সচিব।
প্রধান নির্বাচন কমিশন সচিব কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে ইসির ৫৮তম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইসি সচিব।
ইসি সচিব সাংবকাদিকদের বলেন, নির্বাচনি প্রচারে হামলার বিষয়ে কমিশনের কাছে বিএনপি অভিযোগ করেছে। কমিশন বিষয়টি শুনেছে এবং তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য রিটার্নিং অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিএনপির সঙ্গে কমিশনের বৈঠক প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করতে বিএনপির প্রতিনিধি দল এসেছিল। তাদের অভিযোগ কমিশন ধৈর্যের সঙ্গে শুনেছে। তাদের বিশেষ অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ পেলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।’
বিশেষ অভিযোগ বলতে, চট্টগ্রামের উপনির্বাচনে মৃত ভোটার, প্রবাসী ভোটার কিভাবে ভোট দিলেন? মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমে মৃত ভোটার ভোট দিতে পারে না। অথবা বিদেশে আছেন, উনি কীভাবে ভোট দিলেন। একজন মৃত ভোটার কিংবা বিদেশে থেকে তো ইভিএমে ভোট দেয়ার সুযোগ নাই। এ জন্য তাদেরকে একটা লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তারা দিয়েও গেছেন।’
এ অভিযোগের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘তদন্তে আমরা যদি দেখি যে প্রকৃতপক্ষেই মৃত এবং তার পক্ষে কেউ ভোট দিয়ে গেছে, তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে, সিস্টেমের কোথাও একটা ডিউ লার্ন। ইভিএম তো দোষ করতে পারে না, তাহলে এই দোষের সঙ্গে জড়িত কারা। আর যদি দেখা যায়, অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, উনি জীবিতই আছেন এবং উপস্থিত হয়ে যদি বলেন আমিই ভোট দিয়েছি। ঘটনা যাই হোক না কেন, সত্য বের করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করেন, ‘বেলা পোনে ১২টার দিকে গাবতলীর পর্বতার কলাবাজার এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জনসংযোগে নামলে তার ওপর হামলা চালানো হয়।’
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ