শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ব্যাটে ভরে করে ৬ উইকেটে ১৫২ রান তুলে কলকাতা টেস্ট তৃতীয় দিনে নিয়েছে বাংলাদেশ।
ইনিংস পরাজয় এড়াতে মুশফিকদের এখনও করতে হবে ৮৯ রান। হাতে উইকেট আছে মাত্র চারটি। এর মধ্যে ইনজুরি নিয়ে উঠে যাওয়া মাহমুদুল্লাহ তৃতীয় দিন ব্যাট করতে পারবেন কি-না বলা শক্ত। তাছাড়া দিনের শুরুতে নতুন বলের সেশন পার করে ইনিংস পরাজয় বাঁচানোও সহজ হবে না মুশফিকদের জন্য। গোলাপি বলের টেস্ট অভিষেকে তাই ইনিংস হারের লজ্জার অপেক্ষা নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করবে বাংলাদেশ।
মুশফিকুর রহিম ৫৯ রানে তৃতীয় দিন শুরু করবেন। এর আগে ৩৯ রান করে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উঠে যান মাহমুদুল্লাহ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও প্রথম ইনিংসের মতো হয়। শুরুতে সাদমান ইসলাম এবং মুমিনুল হক শূন্য রান করে আউট হন। ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ মিঠুন যথাক্রমে ৫ ও ৬ রান করে ফিরে যান। মিরাজ ব্যাট করতে নেমে ১৫ রানে আউট হন। ভারতীয় পেসারদের মুখোমুখি হতেই যেন পা কাঁপছিল বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের।
প্রথম ইনিংসেও বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে বাংলাদেশ ১০৬ রানে অলআউট হয়। প্রথম ইনিংস মুমিনুলরা ৩০.৩ ওভার ব্যাট করতে পারেন। ওই ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন সাদমান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন কনকাশন হয়ে উঠে যাওয়া লিটন দাস।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের জবাবে ৩৪৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১৩৬ রান করে ইবাদতের বলে আউট হন তিনি।
তার আগে আজিঙ্কা রাহানে করেন ৫১ রান। কোহলি ফেরার পর দ্রুত পাঁচ উইকেট হারায় ভারত। রবিন্দ্র জাদেজা ১২ রান করেন। অশ্বিন ফিরে যান ৯ রান করে। ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদব কোন রান করতে পারেননি। ঋদ্ধিমান সাহা ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। এর আগে প্রথমদিন ৫৫ রানে আউট হন চেতেশ্বর পূজারা। দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও রোহিত শর্মা যথাক্রমে ১৪ ও ২১ রানে আউট হন।
প্রথম ইনিংসে ইশান্ত ইর্শা নেন পাঁচ উইকেট। এছাড়া উমেশ যাদব এবং মোহাম্মদ শামি নেন বাকি পাঁচ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংস থেকে ইশান্ত শর্মা আবার চার উইকেট তুলে নিয়েছেন। বাকি উইকেট দুটি নিয়েছেন উমেশ যাদব। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংস থেকে ইবাদত এবং আল আমিন তিনটি করে উইকেট নেন। আবু জায়েদ দুটি এবং তাইজুল ইসলাম নেন একটি উইকেট।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ