পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাথাবিহীন লাশ উদ্ধারের ৫দিন পর চা বাগান থেকে অর্ধ গলিত মুণ্ডু উদ্ধার করে পুলিশ।
২১ অক্টোবর পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের ধারে চা বাগান থেকে আজিজনগর গ্রামের নুরুল ইসলাম নুরুর দেহ বিহীন মাথাটি উদ্ধার করা হয় ।
জানাযায়, চা বাগান মালিক সদর ইউপির আজিজনগর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম নুরু সকাল ৯ টার দিকে কাচা চা পাতা তুলতে বাগানে গেলে দুর্গন্ধ পেয়ে এদিক সেদিক অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেহবিহীন একটি মাথা দেখতে পায়। তাৎক্ষনিক থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে ঘটনাস্থল থেকে মাথা উদ্ধার করে পঞ্চগড় মর্গে প্রেরন করেন। এরই মধ্যে খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাথাটি দেখতে হাজার উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমায়।
চা বাগান মালিক নুরুল ইসলাম জানান, সকালে চা গাছের ওভার পাতা গুলো তুলতে বাগানে যাই এসময় পচা দুর্গন্ধ পাই। খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ দেখি চা গাছের নিচে পোকা ধরা দেহবিহীন একটি মাথা পড়ে আছে। তাৎক্ষনিক বিষয়টি আমার বড় আলাউদ্দিনকে জানালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যাকে অবহিত করলে তিনি থানা পুলিশকে খবর দেয়।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণা করছে, গত ১৮ অক্টোবর তিরনইহাট ইউপির ব্রহ্মতোল গ্রামের ঝিকধুয়া খালের সুইস গেটের ডোবা থেকে উদ্ধার করা মাথাবিহীন লাশেরই মাথা হতে পারে।
এ ঘটনায় এসআই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা নামে মামলা করেন। হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে তিরনইহাট ইউনিয়নের যোগীগছ গ্রামের আজিমুদ্দিনের পুত্র রুবেল ও ব্রহ্মতোল গ্রামের নাজিম উদ্দীনের পুত্র আব্দুল বারেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
মাথাবিহীন লাশটি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার লক্ষী নারায়নপুর গ্রামের আব্দুর রউফ বলে সনাক্ত করে ডিবি পুলিশ।
এব্যাপারে তেতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ভার) আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, দেহবিহীন মাথাটি ৫ দিন আগে মাথাবিহীন লাশেরই হতে পারে এমনটিই ধারনা করা যাচ্ছে। তবে উদ্ধারকৃত মাথা ও দেহ ডিএনএ পরীক্ষা এবং পুলিশের তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।
ঘটনাস্থলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহামদ ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় সহ মডেল থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/দেলোয়ার হোসেন নয়ন
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ