সাম্প্রতিক জনমত জরিপের ভিত্তিতে ঢাকার দুই সিটিতেই বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর ভেরিফায়েড পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল সম্পর্কিত জনমত জরিপটি তিনি বিশ্লেষণ করেছেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র নির্বাচন নিয়ে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে একটি জনমত জরিপ করিয়েছিলাম। উত্তরের ভোটারদের মধ্যে জরিপে অংশ নেন এক হাজার ৩০১ জন ও দক্ষিণে অংশ নেন এক হাজার ২৪৫ জন ভোটার। ভোটার লিস্ট থেকে র্যান্ডম স্যাম্পলিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের বাছাই করা হয়। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে মত দেন ৫৪.৩ শতাংশ। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে ১৮.৭ শতাংশ ভোটার বেছে নেন। ১৬.৮ শতাংশ সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানান। ঢাকা উত্তরের ভোটারদের জরিপে দেখা যায়, ৫০.৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আতিকুল ইসলামকে বেছে নিয়েছেন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে বেছে নেন ১৭.৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। ২৫.৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সিদ্ধান্ত নেননি বলে জরিপে জানা গেছে।
জরিপটি করা হয় সামনাসামনি, অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে নয়। মক ব্যালটের মাধ্যমে এই জরিপ করার কারণে আমরা বা জরিপকারী কারোরই জানার সুযোগ থাকে না কে কাকে ভোট দিল। জরিপ করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নির্ভুল পদ্ধতি এটি। নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় মানুষ জরিপে অংশগ্রহণ করতে পারে। তার পরও যারা কোনো অপশনই বেছে নেয় না তাদের ভোট দেওয়ার সম্ভাবনাই কম, কারণ সাধারণত কোনো নির্বাচনেই ১০০ শতাংশ ভোট পড়ে না। এই জরিপের ফলাফল ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমবেশি ৩ শতাংশ।
জয় তাঁর স্ট্যাটাসে আরো লেখেন, ‘জরিপটি করা হয় যখন দলগুলো তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। তাই জরিপের সঙ্গে আসল ফলাফলের কিছুটা পার্থক্য হতেই পারে। তার পরও সেই পার্থক্য ৫-১০ শতাংশের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ১০ শতাংশের বেশি ভোট কোনো দলের পক্ষেই পরিবর্তন করে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা কঠিন। তাই এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় শুধু নিশ্চিতই নয়, ব্যাপক ব্যবধানে জয়ও নিশ্চিত।’
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ