চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি: চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের পুরান বাজার হরিসভা ঠোট্টায় এবার মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে পুরাণবাজার হরিসভা থেকে পশ্চিম শ্রীরামদী রনাগোয়াল পর্যন্ত শহর রক্ষা বাধের এ এলাকাটি নদীতে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।হরিসভা ঠোটার প্রায় ৫০ মিটার এলাকাজুড়ে ব্লকবাঁধ নদীতে তলিয়ে যায়।
গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুরান বাজার হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স গেইট এলাকায় হঠাৎ করেই ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন রাতের মধ্যই তাদের বসতঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।
নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত সুভাষ ঋষী, বুলু ঋষী, শ্যামল ও নারায়ন ঘোষের বসত ঘর জুড়ে ভাঙ্গনের ফাটল ধরেছে এবং জগদীশ ও রাখাল বণিকের বাড়ির পেছনও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।এসময় তাদের ঘর গুলো ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
স্থানিয় বাসিন্দা ও আওয়ামীলীগ নেতা খায়ের মিজি জানান, হরিসভা রাস্তা ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে।যে কোন মূহুর্তে পৌরসভার এ রাস্তাটি ভেঙ্গে গেলে হরিসভা ও মধ্য শ্রীরামদী এলাকা মেঘনায় বিলীন হয়ে যাবে।
এদিকে ভাঙ্গনের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুে রহমান খান,পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বিপি এম (বার), পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ ও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে মোতায়েন করা হয়।
এসময় নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি তাৎক্ষনিক পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বিষয়টি অবগত করেন।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, প্রায় ৪০ মিটার জায়গা থেকে শহর রক্ষাবাঁধের ব্লক দেবে গেছে। আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাঙ্গন স্থানে ছুটে আসি এবং আমাদের কাছে স্টোকে থাকা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ এনে ভাঙ্গনস্থানে ফেলা শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, এর আগেও কয়েক দফা ভাঙনের শিকার হয় হরিসভা এলাকা। প্রতিবারই পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে কাজ করেছেন। আবারও সেখানে ভাঙন শুরু হওয়ায় হরিসভা, মধ্যশ্রীরামদী ও পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকাটি এখন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ