নিউজ ডেস্ক : অল্প কিছুদিন পূর্বে শাসকদলের কিছু শীর্ষনেতা “ছাত্রলীগ কে কৃষকের ধান কাটতে বলেছেন ” আর ওমনি জেলা, উপজেলা, নগর, মহানগরের নেতারা, ছাত্রলীগকে ধান কাটতে নির্দেশনা ফলাও করে প্রচার চালাচ্ছে।
যার কোন উপকার কৃষক পায় নাই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
নেতৃদ্বয় বলেন, প্রচার-প্রচারনার জন্য নতুন লুঙ্গি-গ্যাঞ্জি পড়ে ছাত্রলীগ নেতাদের কৃষকের ধান কাটার প্রয়োজন নাই, আমরা ধানের ন্যায্যমূ্ল্য চাই।
সোমবার (২৭ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় উপরোক্ত দাবী উত্থাপন করেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার নিজেকে কৃষক বান্ধব বলে দাবী করলেও কোনো পদক্ষেপেই এ দাবী প্রমাণ হয় না। এবার ধানের বাম্পার ফলনের পর দেখা গেল, সরকার প্রকৃতপক্ষে কৃষকের শত্রুই। কৃষকের জন্য তাদের কোনো মমতাই নেই। এবার কৃষক ধান ফলিয়ে তা ঘরে তুলতে পারছিলেন না। এক মণ ধানের দাম ৫০০ টাকা।
অপর দিকে একজন মজুরের দৈনিক মজুরি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। অন্যান্য সময় কৃষক মজুরের মজুরি দিতেন ধানের আনুপাতিক হিসাবে। কিন্তু এবার মজুরের সঙ্কট প্রকট হওয়ায় মজুর মজুরি চাইছেন নগদ টাকায়। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
বিপন্ন কৃষক কোথাও কোথাও পাকা ধানের ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। কোথাও কোথাও রাস্তায় ধান ছড়িয়ে দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন।
সে প্রতিবাদে শরিক হয়েছেন সচেতন নাগরিকেরা এবং তারা সঙ্গতভাবেই প্রশ্ন করেছেন- এক কেজি চালের দাম যদি ৫০ টাকা হয়, তাহলে এক কেজি ধানের দাম ১২ টাকা হবে কেন? সরকার এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেয়নি। জবাব না দিয়ে তারা এমন সব বক্তব্য দিচ্ছেন যে, গা শিরশির করে উঠছে।
তারা বলেন, সরকার ধানের সঠিক মূল্য কৃষকদের হাতে পৌঁছে দিতে না পারায় কৃষকরা আজ অর্থনৈতিক কষাঘাতে নিরুপায় হয়েছে। এর দায়-দায়িত্ব অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে।
আজকে ধানের মূল্য না পেয়ে কৃষকরা দরিদ্র থেকে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। দেশের ৮০ ভাগ কৃষক তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তায় জীবনযাপন করছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ কৃষকদের অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়।
যেখানে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার, ব্যাংক থেকে লুটপাট হচ্ছে, সেখানে জনপ্রতি মাত্র ৫/৬ হাজার টাকা ঋণের জন্য লাখ লাখ কৃষকের নামে মামলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি সরকারের কৃষক নিধনের হাতিয়ার ছাড়া কিছুই নয়।
কৃষকের ধান এখন চালকলের কাঁচামালে পরিণত হওয়ায় কৃষক মহাবিপদে পরেছে।
তারা কৃষকদের এনজিওসহ সব ঋণ মওকুফের দাবি জানিয়ে বলেন, কৃষকের ধান কেনার জন্য সরকারের কাছে টাকা নেই, কিন্তু কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার জন্য যথেষ্ট টাকা আছে। এ কেমন বিচার!
অন্যদিকে আরো উদ্বেগের খবর হলো ধান নিয়ে বাংলাদেশের কৃষক যখন এতটা বিপন্ন তখন ভারত থেকে বেসরকারিভাবে ২০ লাখ টনেরও বেশি চাল আমদানির অনুমোদন দিলো সরকার।
ফলে বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বাজারে আসতে শুরু করল ভারতীয় চাল। এটা যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
নেতৃদ্বয় অবিলম্বে সরকারিভাবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান কেনার দাবী জানান।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ