পঞ্চগড় প্রতিনিধি: গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় আবারো উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। জেঁকে বসেছে শীত। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজকে দেশের সর্বনিম্ন। এবং গতকাল ১৯ জানুয়ারি রাত ৯ টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১ দশমিক ৯ মিলিমিটার।
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন আগামি কয়েক দিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে সেই সাথে বইতে পারে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ।
এদিকে তীব্র শীত, বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার কারনে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জেলার মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুলগামী শিশু, নিম্ন আয়ের সাধারন মানুষ, বিশেষ করে চা শ্রমিক আর পাথর শ্রমিকরা।
এবার পুরো পৌষ মাস জুরেই অধিকাংশ সময় পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করলেও মাঘের শুরুতে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে থাকে। কিন্তু গতকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার কারনে আবারো বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে রাত কাটে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের। খড়কুটো জ্বালিয়ে তারা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়ার কারনে সন্ধার পরপরই হাট বাজার রাস্তাঘাট একেবারে ফাকা হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
এদিকে কৃষি অফিস জানিয়েছে শুরু থেকেই বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ায় শীতের প্রভাব তেমন পড়েনি
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ