চবি প্রতিনিধিঃ “শাশ্বত সুন্দরের বাণীমূর্তি হোক আলোকের প্রথম জয়ভেরি” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হওয়া উত্তরায়ণ সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ৩ মাসব্যাপী কর্মশালা শেষ হয়েছে।
প্রমিত উচ্চারণ, উপস্থাপনা ও আবৃত্তি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সেমিনার কক্ষে বৃন্দ আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শেষ হলো কর্মশালার কার্যক্রম।
এদিন প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে একক আবৃত্তি করেন, হেলাল উদ্দিন, তানজিনা প্রীতি, নাফিজা খানম, শামছুল আলম, সাইয়্যেদ নোমান এবং বৃন্দ আবৃত্তি করেন, পিয়া মনি চাকমা, আব্দুল আজিজ মাহবুব এনামী, ছওদিউল মুহাম্মদ ফাহাদ ও তানজিনা প্রীতি।
এর আগে কর্মশালায় উচ্চারণ সুত্র, উচ্চারণে আঞ্চলিকতার প্রভাব ও তার প্রতিকার, মঞ্চ,টেলিভিশন, বেতার, সংবাদ ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনার কলাকৌশল ও মাইক্রোফোনের বহার, ছন্দ এবং আবৃত্তি নির্মাণের কলাকৌশলসহ আবৃত্তির বিভিন্ন বিষয়ে দেশের স্বনামধন্য আবৃত্তি শিল্পী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
তিন মাসব্যাপী এ কর্মশালার উপদেষ্টা ছিলেন, কবি ময়ূখ চৌধুরী, বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান ও হাসান জাহাঙ্গীর। কর্মশালার বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি অনিক মহাজন সময় জার্নালকে জানান, উত্তরায়ণ বরাবরই বিশ্ববিবিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে। নানা প্রতিকূলতার পরও বছর শেষ হওয়ারপূর্বেই এবারের কর্মশালা শেষ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। শীঘ্রই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ প্রদান করা হবে।
প্রসঙ্গত, উত্তরায়ণ সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর প্রমিত উচ্চারণ, উপস্থাপনা ও আবৃত্তির উপর কর্মশালা পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি। এবারের ৫ম আবর্তনে প্রায় ১২০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ