নিজস্ব প্রতিবেদক: র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পাবনার রাজাপুরে আমিন শেখ (৪০) ওরফে ডাকাত আমিন এবং কক্সবাজারের টেকনাফে মো. রুবেল (২২) নামের এক ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত হয়েছে।
পাবনা: সোমবার রাত তিনটার দিকে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের রাজাপুর এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহত আমিন পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর পয়দা গ্রামের এসকেন শেখের ছেলে। র্যাবের দাবি, তিনি ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা ও তিনটি অস্ত্র মামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, ১০ থেকে ১৫ জনের একটি ডাকাতদল পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের রাজাপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন সংবাদে সোমবার রাত ৩টার দিকে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। এ সময় ডাকাতেরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ একজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয়রা তার পরিচয় সনাক্ত করে।
সূত্র আরও জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, বেশকিছু ধারালো অস্ত্র ও ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ: মঙ্গলবার ভোরে উপজেলা টেকনাফ সদরের বড় হাবির ছড়া নতুন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় মো. রুবেল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি ওয়ানশুটার গান, ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও দু’টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
নিহত রুবেল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া জুম্মাপাড়া এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে। তিনি মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা গ্রুপের সদস্য ছিলেন বলে জানায় র্যাব।
র্যাব ১৫ সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব বলেন, মঙ্গলবার ভোরে বড় হাবির ছড়া নতুন মেরিন ড্রাইভ এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান পাচার হবে- এমন গোপন সংবাদে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ৪/৫ জন মাদক ব্যবসায়ী গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার পরিচয় জানা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গত ১ ডিসেম্বর হ্নীলা জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবাসহ মিয়ানমার মংডু মাংগালা পাড়ার আবুল কালামকে আটক করা হয়। ওই মামলায় রুবেলকে পলাতক আসামি করা হয়েছিল। এছাড়া সে রোহিঙ্গা অস্ত্রধারী গ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ