নিউজ ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস গুজব রটনাকারীদের বিষয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রশ্নফাঁসের পেছনে না ঘুরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের লেখাপড়ায় মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শনিবার (২ অক্টোবর) জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার প্রথম দিনে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা পিএম পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সকাল ১০টায় সারাদেশে একযোগে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর আগে মন্ত্রী পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পাবলিক পরীক্ষা চলার সময় কোচিং সেন্টার ডা. দীপু মনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময় সব ধরনের কোচিং বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিডিয়া সহযোগিতা করছে কোচিংয়ের বিরুদ্ধে। অথচ তাদের ওপর হামলা হয়েছে। এটা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোচিং পরিচালনাকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার শিক্ষক কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধেও শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুরেই সাংবাদিকদের মারধর করার ঘটনা ও কোচিং বন্ধের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করবেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠকে কোচিং পরিচালনাকারী শিক্ষক কাণিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আজিমপুর চায়না গলিতে অগ্রগামী কোচিং সেন্টারের কোচিং করানোর তথ্য সংগ্রহ ও ভিডিও চিত্র ধারণ করার সময় সময় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদক পিংকি আক্তারকে মারধর করা হয়। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার শিক্ষক কাণিজ ফাতেমা তার লোকজন নিয়ে প্রতিবেদক পিংকি ও ক্যামেরা পারসন মনজুর রহমানের ওপর হামলা চালান। এই ঘটনায় শুকবার তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়।
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়ির সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ