ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৯:৩০ ঘটিকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, বরিশাল আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন কে কেন্দ্র করে আজ সকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মানাধীন মূল ফটকের সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মনোমালিন্য ও ব্যানার ছেড়াছেড়ির ঘটনা ঘটে যার ফলে এই সংঘর্ষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের একাধিক কর্মী।
এসময় আহত হয় গনিত বিভাগের মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত, রসায়ন বিভাগের রফিক, লোক প্রশাসন বিভাগের রুদ্র সহ ১০ জনের মত। আহতরা সবাই বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
এদের মধ্যে মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত নিজেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক অংশের নেতা। বাকিরা সিফাতের বিপরীত অংশের কর্মী,যারা সৈয়দ জিসান আহমেদ এর অনুসারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিফাতের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী আলীম সালেহী বলেন,’বরিশাল আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শেষ করে আমি এবং সিফাত ভোলার রোড দিয়ে হলে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে একটি বাইকে অপরিচিত চালকসহ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রফিক হাওলাদার এসে আমাক ও সিফাতকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে দ্রুত বাইক নিয়ে সরে পড়েন।
এব্যাপারে সৈয়দ জিসান আহমেদ বলেন ,আসলে ব্যাপারটা এরকম না ।মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত নিজে দা সহ তার কর্মীদের নিয়ে আমার সমর্থকদের উপরে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। সেখানে আমার দুই জন কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয় আরো আহত হয় ৬-৭ জন। এই অপকর্ম ঢাকার জন্য সে(সিফাত) নিজেকে সামান্য আহত করে হসপিটালে ভর্তি হয়েছে এবং দোষটা আমার কর্মীদের উপর চাপাচ্ছে।
এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘ঘটনা আমরা শুনছি এবং শোনা মাত্রই আমি ক্যম্পাসে এসেছি। অভিযোগ পেলে প্রক্টরিয়াল আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ঘটনার পরপরই হলে ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টরিয়াল বডি, ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ