সময় জার্নাল প্রতিবেদক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানের এলোমেলো পথে চাঁদের গাড়িতে বসে দেখতে পারবেন চিম্বুক পাহাড়। বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক বাংলাদেশের পাহাড়ি সৌন্দর্যের মধ্যে পাহাড়ের রানী হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। পাহাড়ের এই দৃশ্যটি অতি চমৎকার। এ পাহাড় থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের দৃশ্য যেকোনো পর্যটককে মুগ্ধ করবে। নীলগিরির সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে মনের অজান্তে হারিয়ে যাবেন নীল দিগন্তে।
পাহাড়ি সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পৌঁছে যাবেন থানচিতে। সেখানে ‘হোটেল ডিসকভারী থানচি’তে সামান্য অবসর নিয়ে সাঙ্গু নদীর মোহনীয় রূপ দেখতে দেখতে বেড়িয়ে আসতে পারেন রেমাক্রি। তারপর নাফাখুম জলপ্রপাত। ফিরতি পথে বান্দরবানের স্বর্ণমন্দির, মেঘলা আর নীলাচলের অপরূপ রূপ দেখে আসতে পারেন।
ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন স্বাদের বিরিয়ানি নিশ্চয়ই আপনি উপভোগ করেছেন! তবে কখনো কি বাঁশ বিরিয়ানির স্বাদ গ্রহণ করেছেন? হয়তো ভাবছেন বাঁশ আর বিরিয়ানির মধ্যে আবার কিসের সম্পর্ক? যারা করেছেন তারা নিশ্চয়ই এর স্বাদে মুগ্ধ হয়েছেন। আর যারা এখনো এই বিরিয়ানি খাননি তারা ঘুরে আসতে পারেন পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচিতে অবস্থিত ‘হোটেল ডিসকভারী থানচি’তে।
লম্বা সরু সাদা ধবধবে বাসমতি চালের বিরিয়ানি বা কাচ্চি কার না ভালো লাগে? মজাদার এই খাবারের প্রতি প্রায় প্রত্যেকেরই আলাদা একটা টান আছে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো বাঁশ বিরিয়ানি রান্নায় তেল ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তার মানে বোঝায় যাচ্ছে এটা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত। শুধু চিকেনটা ভাজার জন্য সামান্য তেল ব্যবহার করতে হয়। বাঁশের নিজস্ব এসেন্সিয়াল অয়েল আছে যেটা দিয়ে এই বাঁশ পোড়া মুরগির স্বাদ আর গন্ধ দুটোই আলাদা আর সুস্বাদু হয়। একবার কিন্তু ট্রাই না করলেই নয়।
বাঁশ বিরিয়ানি রান্নার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যায়- প্রথমে রান্নার জন্য প্রস্তুত করা মাংসের টুকরোগুলো হালকা করে তেলে ভেজে নিয়ে গ্রেভি রোস্টের মসলার সাথে কিছুটা কসিয়ে নিতে হয়। তারপর পরিস্কার একটি বাঁশের চোঙ্গার ভিতরে হালকা ঘী দিয়ে তার সাথে হালকা ভাপে রান্না করা বাসমতি বা চিনিগুড়া চালের ভাত আর মাংসের টুকরোগুলো ঢুকিয়ে দিতে হয়। বাঁশের চোঙ্গার খোলা মুখ ফয়েল পেপার দিয়ে মুড়িয়ে ১৫ মিনিটের মত আগুনে পুড়িয়ে নিতে হয়। আর বিরিয়ানিতে বাড়তি স্বাদের জন্য ব্যবহার করা হয় আলু বোখারা, কিচমিচ, বাদাম, ঘী, বেরেস্তা সহ অনেক রকম মসলা। ১৫ মিনিট পরে যখন বাঁশের ভিতরে থেকে বাসমতি চালের চিকেন বিরিয়ানি বের করা হয় তখন রীতিমত বিরিয়ানির একটা গন্ধ আর সাথে স্মকি একটা ফ্লেভার জিভে জল এনে দেয়।
ভ্রমণ পিয়াসুদের ভোজন বিলাসের কথা মাথায় রেখে থানচির সর্বাধিক জনপ্রিয় হোটেল ‘দ্যা হোটেল ডিসকভারী থানচি’ পর্যটকদের জন্য দারুণ দারুণ সব খাবার সরবরাহ করে থাকে। এখানে বাঙালী খাবারের পাশাপাশি পাহাড়ীদের মধ্যে জনপ্রিয় সুস্বাদু সব খাবারসহ রুফ টপ বার-বি-কিউ’র সুব্যবস্থা রয়েছে।
রাত্রিযাপনের জন্য জন্য হোটেলটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের এসি/নন-এসি রুমের ব্যবস্থা। রুম ভেদে এর ভাড়া ২,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। যারা দল বেঁধে ঘুরতে যান তাদের জন্য রয়েছে অল্প খরচে থাকার সুব্যবস্থা। এছাড়াও এখানে থাকছে- ওয়াইফাই, বিজনেস সেন্টার, মিনারেল ওয়াটার, পার্কিং, রেস্টুরেন্ট, ট্যুর প্লান কনসালটেন্সি, বাস বুকিং, এটাচড ওয়াশরুম, হিল ভিউ সুবিধা। সাথে থাকছে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ও প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
অত্যাধুনিক সব সুযোগ সুবিধা আর বাঁশ বিরিয়ানির স্বাদ নিতে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে দ্যা হোটেল ডিসকভারী থানচিতে উপভোগ করতে পারেন একটি অসাধারণ অবকাশ।
বুকিং এর জন্য যোগাযোগ
থানচি অফিস: ০১৮৮০০০৬৩৫৮, ০১৮৮০০০৬৩৫৩।
ঢাকা অফিস: ০১৮৮০০০৬৩৬৩।
ফেসবুক পেইজ: The Hotel Discovery Thanchi
আরও পড়ুন
পর্যটকদের জন্য হোটেল ডিসকভারী থানচিতে চলছে বিশেষ ছাড়!
বান্দরবানের ৫টি অপরূপ স্থান
অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব: যেন মনোরম প্রকৃতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ