নিউজ ডেস্ক: ১০ বছর আগে দেশের ২১টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন ১২৫টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।
ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া অপর ১০টি দেশেই উৎপাদন কমেছে। সুষ্ঠু ও সঠিক ইলিশ ব্যবস্থাপনার কারণে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে ইলিশ উৎপাদন বেড়ে ৫ লাখ ১৭ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে দেশে মাছের উৎপাদন নিয়ে আলোচনাকালে এই আশা প্রকাশ করা হয়। কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু’র সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে কমিটি সদস্য বি এম কবিরুল হক, মো. শহিদুল ইসলাম (বকুল), ছোট মনির, নাজমা আকতার, মোছা. শামীমা আক্তার খানম ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, ইলিশ মাছ আহরণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে। গত কয়েক বছরে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইলিশের উৎপাদন কমলেও বাংলাদেশে প্রতিবছরই বাড়ছে। আগামীতে আরো বাড়বে বলে আশা করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আরো জানানো হয়, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্যখাতের অবদান ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের জিডিপি’র ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপি’র ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বে তৃতীয় এবং চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭৩ হাজার ১৭১ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ