জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ‘বিচারপতিরা যদি আর্থিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হন সেটা যেমন দুর্নীতি, তেমনি তাদের ওপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব অর্পিত সেটা যথাযথভাবে পালন না করাও দুর্নীতি।’
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি তিনজন বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে সাময়িকভাবে বিরত রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তারা কি আর্থিক দুর্নীতিগ্রস্ত? না অন্য কিছু, তা আমরা জানি না।’
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বিচার বিভাগ থেকে জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে সব প্রকার দুর্নীতির বিষয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আমরা কামনা করি। কিন্তু আমরা দেখতে পারছি, দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা এবং আইনমন্ত্রী বিষয়টি পরিষ্কার করছেন না, যা দুঃখজনক।
বিচারপতি নিয়োগে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আদালতে বিচারপতি নিয়োগ বিধিমালা তৈরি করে নিয়োগ দেয়া একান্ত প্রয়োজন।
‘বিচার বিভাগের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি দূর করা এবং সংবিধান মোতাবেক বিচারপতি নিয়োগে বিধিমালা প্রণয়নের দাবিতে’ আগামী বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বারসহ সব জেলা বারে মানববন্ধনের ঘোষণা দেন জয়নুল আবেদীন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ আগস্ট নিজ কার্যালয়ে হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের কথা অবহিত করা হয় এবং পরবর্তীতে তারা ছুটির প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, সেটার অভিযোগ কী, এ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করে কী পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা রাষ্ট্রপতি আশা করি, সিদ্ধান্ত নেবেন।
হাইকোর্টের ওই তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ