আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ও সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানজুড়ে পালিত হচ্ছে কালো দিবস।
কাশ্মীরি জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ১৫ আগস্টে কালো দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছিল ইমরান খানের সরকার।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন ও জিয়ো নিউজ জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে কালো দিবস পালিত হচ্ছে।
বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে দেশের প্রায় সব এলাকায় বিক্ষোভ ও র্যালি বের করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হবে। সরকারি অফিসগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে দিনভর।
এর আগে গতকাল ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসকে এবার ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করেছে পাকিস্তান। এই দিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাশ্মীর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করার পাশাপাশি কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।
গত ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদির সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ) বাতিল করে দিয়েছে। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি অঞ্চল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়েছে।
কাশ্মীরী সংগঠনগুলো বলেছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের অর্থ হলো সেখানকার অধিবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপত্যাটিকে কয়েক দিন আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে হিমালয় অঞ্চলটির সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘোষণাকে সামনে রেখে কাশ্মীরের ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
এই মুহূর্তে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকীকৃত এলাকায় পরিণত হয়েছে। সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্য মিলিয়ে সেখানে ৭ লক্ষাধিক নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
অস্থায়ী কারাগার বানানো হয়েছে হোটেল, গেস্ট হাউস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ভবনকে। কাশ্মীরের পুরো উপত্যকাটি যেন পরিণত হয়েছে একটি কারাগারে।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ