মুজিব
বঙ্গবন্ধু,
ঠিক একশত বছর আগে এসেছিলে ধরণীর বুকে,
দিয়েছিলে জীবনের সমস্ত দিয়ে বাংলার শত্রুদের রুখে।
বাল্যকাল থেকেই তুৃমি ছিলে বাংলার অকৃত্রিম বন্ধু,
বাংলার মানুষ, ভাষা, গানের প্রতি ছিল ভালোবাসার সিন্ধু।
সেই ছোট বয়সে স্কুলের উন্নয়নের জন্য তোমার যে সাহসী ভূমিকা ছিল,
গুরুজনরা ঠিকই তোমার শ্রেষ্ঠত্ব বুঝে নিলো।
অবিভক্ত বাংলা রক্ষায় তুমি চেষ্টা করেছিলে আপ্রাণ,
বৃটিশ আর স্বার্থান্ধদের জন্য হলো তা ভেঙ্গে খান খান।
ভাষার মর্যাদা রক্ষায় তুমুল আন্দোলনে পড়লে ঝাঁপিয়ে,
পাকিস্তানি স্বৈরাচারদের ভীত দিলে কাঁপিয়ে।
চুয়ান্নের নির্বাচনেে যুক্তফ্রন্ট নামে গঠিত হয়েছিল বিরোধী দলের মোর্চা,
বিশাল জয় দিয়েই তাদের শোষণের জবাব দিলে আচ্ছা।
গণতন্ত্র রক্ষা ও শিক্ষা আন্দোলনে ছিলে বাঙ্গালীদের নেতা,
পিতা তুমিই বুঝতে অসহায় জাতির মনের সকল ব্যথা।
৬৬-তে সর্বকালের সর্বসমাজের শোষিত বঞ্চিতদের মুক্তির সনদ করলে উত্থাপন,
মানুষ সত্যি তোমায় করে নিয়েছিল চিত্ত থেকে আপন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন বিচার শুরু করলো পাক সরকার,
বাংলার মানুষ রক্ত দিয়ে মুক্ত করে উপযুক্ত শিক্ষা দিলো তার।
তোমার হাত ধরেই চূড়ান্ত সফলতা আসে অসহযোগ আন্দোলনে,
তুমিই পারবে মুক্ত করতে জাগে তা জনমনে।
সত্তরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় তোমার নেতৃত্বেই হলো অর্জন,
মানুষের আস্থা ছিল তোমার প্রতি তাই শোষণকারীদের করেছিল বর্জন।
ক্ষমতা বুঝিয়ে না দিয়ে তারা করলো আক্রমণ,
৭ই মার্চের ভাষণ আর স্বাধীনতার ঘোষণা তোমার ছড়িয়ে পড়লো জনে জন।
তোমার ডাকেই সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো আপামর মানুষ,
পরাজিত হওয়ার মাধ্যমে ফিরে আসে পাক বাহিনীর হুশ।
পিতা তোমার জন্মের একশত বছর স্মরণে মুজিব বর্ষ ঘোষিত হলো দু-হাজার বিশ সাল,
তোমার কন্যার হাতেই দেখো সুখী সমৃদ্ধ বাংলা তরীর পাল।
মিজানুর রহমান সিনহা
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সময় জার্নাল/আরইউটি/
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ