রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি একই বিভাগের শিক্ষক মু. আলী আসগর বিভাগের সভাপতির কাছে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
৩ নভেম্বর সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান অভিযোগকারী ওই শিক্ষক।
অধ্যাপক আলী আসগর সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬ সালের নভেম্বরে বিভাগের তিনটি শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিš‘ ওই বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে চলতি বছরের ৩০ জুলাই নতুন করে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন করে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। এরই প্রেক্ষিতে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আবেদনটি আমলে নিয়ে চলতি বছরের ২১ আগস্ট হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপর থেকে বিভাগের কতিপয় শিক্ষক পরিকল্পিতভাবে তাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করে যা”েছন বলে অভিযোগ করেন অধ্যাপক আলী আসগর।
লিখিত অভিযোগে অধ্যাপক আলী আসগর উল্লেখ করেন, গত বছরের ১ নভেম্বর বিভাগের বি.এসসি. এজি (অনার্স) পার্ট-১ পরীক্ষায় সয়েল সায়েন্স-১ (কোর্স সিএসটি-১০২) তত্ত্বীয় পরীক্ষায় হল পরিদর্শনের দায়িত্বে ছিলাম। পরীক্ষায় এক ছাত্র অসদুপায় অবলম্বন করায় প্রধান পরিদর্শক তার উত্তরপত্র জমা নিয়ে আমার কাছে দেন। কিছুক্ষণ পর শিক্ষক খাইরুল ইসলাম পরীক্ষার হলে এসে আমার সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং ওই ছাত্রের খাতা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। সে সময় তিনি আমাকে কক্ষের বাইরে যেতে এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ৩ অক্টোবর বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় খাইরুল ইসলাম বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক এ কে এম আবদুল বারীর সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং আরেক সিনিয়র শিক্ষক এম আল বাকী বরকতুল্লার ফোন ছিনিয়ে নেয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার হলে পরিদর্শক হিসেবে আমি তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম ছেলেটি কি ধরনের অসদুপায় অবলম্বন করেছে। পরে আমি ছেলেটির খাতা ফিরিয়ে দিতে বলেছিলাম। কিš‘ অধ্যাপক আলী আসগর এতে অস্বীকৃতি জানায়। এ পর্যন্তই কথা হয়েছে। তিনি যে অসদাচরণের অভিযোগ এনেছেন সেগুলো ভিত্তিহীন।
এদিকে গত ৩১ অক্টোবর অধ্যাপক আলী আসগর বিভাগের শিক্ষক মোসলেহ্ উদ্দীনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত অনুরোধ জানান। ওই সময় বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষক মোসলেহ্ উদ্দীনের প্রতি অনা¯’া জানিয়ে বিভাগীয় সভাপতির পদ থেকে তার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।
সময় জার্নাল/ তৌসিফ কাইয়ুম
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ