রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম : জেলার কচাকাটায় ৭ বছরের এক কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ৬০ বছরের বৃদ্ধ হবিবর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কচাকাটা থানার বল্লভের খাষ ইউনিয়নের বেরুবাড়ি গ্রামে।
পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবারের লোকজন জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে শিশুটি পাশের বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করছিলো। এসময় ওই বাড়ির মালিক ৬০ বছরের হবিবর রহমান মেয়েটিকে টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে গিয়ে মা এবং দাদীকে জানায়।
এসময় মেয়েটির রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে নিগৃহিত মেয়েটিকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠায় এবং ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পরে শিশুটির দাদা নুর হোসেন শেখ বাদি হয়ে হবিবরকে আসামী করে কচাকাটা থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটানাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাই এবং অভিযুক্তকে আটক করি। রাতেই তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। আজ বুধবার হাবিবুরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আল আমিন মাসুদ জানান, শিশুটির শাররীক অবস্থা এখন ভালো। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, হবিবর রহমান পেশায় একজন কৃষক। তার ৬ সন্তানের মধ্যে চারজন ছেলে এবং দুইজন মেয়ে। সন্তানদের সবাই বিবাহিত। অভিযুক্ত হবিবর রহমানের লালসার শিকার শিশুটি দূর সম্পকৃত নাতনি। মেয়েটি স্থানীয় নুরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
সময় জার্নাল
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ