সময় জার্নাল প্রতিবেদক: ‘মাদকমুক্ত সুস্থ জীবন’ স্লোগানে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) মাদক বিরোধী ক্যাম্পেইন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দেশের বেসরকারি সংগঠন মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ডা. অরুপ রতন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সেকেন্দার আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পাস ভিত্তিক মাদক বিরোধী আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম রলি, ক্যাম্পাস ভিত্তিক মাদক বিরোধী আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান। সহকারী প্রক্টর মো. রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
মূল প্রবন্ধে ড. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, মাদক কোন ছেলে খেলা নয়, মাদক একটি ব্রেন রোগ। সিগারেট ধোঁয়ায় রয়েছে ৭৩৫৭ ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য। এর মধ্যে ৭০টি মানুষের দেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করে। মাদক সেবনের ফলে মানুষের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে খোলা জায়গায় ধূমপান করলে জরিমানা করা হয়। অনেক সময় সঙ্গীদের চাপ, নেশার প্রতি কৌতুহল এবং মাদকের সহজলভ্যতার কারণে তরুণ সমাজ এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। ইয়াবা সেবনকারীরা বিষাদগ্রস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করছে। ফেনসিডিল, হেরোইন আমাদের দেহে মরণব্যধি সৃষ্টি করছে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ড্রাগ টেস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, মাদকে বিদ্যমান নিকোটিন শারীরিকভাবে অনান্য মাদকের গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এ জন্য আমাদের মাদকের রুটগুলো বন্ধ করতে হবে। এটি একটি সোস্যাল সমস্যায় পরিণত হচ্ছে দিনে দিনে। সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণে আমরাও মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি চালু রাখবো যাতে শিক্ষার্থীরা এতে আসক্ত হতে না পারে। তামাক সেবন বিষ সেবনের সমান। তামাকের পরিবর্তে অন্য ফসলের চাষ নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মাদক বিরোধী র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি স্বাধীনতা চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামের সামনে এসে শেষ হয়।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ