নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরও চক্রান্ত শেষ হয়নি। আমরা ১৪ দলের পক্ষ থেকে বারবার বলেছি, শেখ হাসিনা যত সফল হচ্ছে চক্রান্ত তখন গভীর হচ্ছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নিয়মিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাসিম বলেন, বিএনপি-জামায়াতে নৈরাজ্য রাজপথে নয়, কোর্ট প্রাঙ্গণ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আমরা সব সময় বলি, আইন আইনের মতো চলবে। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আইন যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটি আমরা সম্মান করি। ১৪ দল আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি, ঐক্যবদ্ধ থেকে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি-জামায়াতের অপশক্তিকে চূড়ান্ত পরাজিত করবো। সেটা নির্বাচনের মাঠে হোক বা রাজপথে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, আমরা ১৪ দল এখনো মনে করি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার হত্যার নেপথ্যের খলনায়কদের বিচার হয়নি। শুধু মোস্তাক নয়, বেইমান জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল কারিগর। তার নির্দেশে পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলখানায় স্বাধীনতার ৪ মহানায়ককে হত্যা করা হয়েছে। সে চেয়েছিল এই ৪ নেতা বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিরোধ গড়ে উঠবে। রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি করার জন্য ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন. যে তাকে (জিয়াউর রহমান) মুক্ত করেছিল সেই কর্নেল তাহেরকেও হত্যা করেছিল। হত্যা করেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, বিভিন্ন সেনানিবাসে অনেক সৈনিককে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। আমরা ১৪ দল থেকে বারবার বলেছি, আইনমন্ত্রীকে বলেছি, আপনারা কমিশন গঠন করে এই মূল খলনায়ক জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচন করুন। জিয়াউর রহমানে বিচার না হলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে না। এই মূল খলনায়কের বিচার হতে হবে বাংলার মাটিতে।
সাবেক এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লড়াই করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল। মা-বোন ইজ্জত দিয়েছিল। সেই মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে আমাদের বেদনা হলো, মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে ছিলাম। জাতির জনককে সপরিবারে আমরা হারিয়েছিলাম। আল্লাহ রহমতে বিদেশে থাকার কারণে জাতির জনকের দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে পেয়েছিলাম।
তিনি বলেন, জেলখানায় আমরা জাতীয় ৪ নেতাকে হারিয়ে ছিলাম ৩ নভেম্বর। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে। ৭১ এর ঘাতকের বিচার হয়েছে।
১৪ দলের ডিসেম্বরের কর্মসূচি জানিয়ে নাসিম বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসে ১৪ দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেন করবে। ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভার আয়োজন করবে। ডিএসপির সারের দাম কমানোয় প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানায় ১৪ দল।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিসহ অনেকে।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ