নিউজ ডেস্ক : ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ঘিরে বিদেশি কূটনীতিকদের সাম্প্রতিক তৎপরতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ক্ষোভের পর যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ঢাকায় কর্মরত পশ্চিমা ৯টি দেশের কুটনীতিকরা।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ঢাকায় অবস্থিত কূটনীতিক এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত পর্যবেক্ষক হিসেবে আমরা এই শহরের ভোট কেন্দ্রসমূহে গণতন্ত্রকে কার্যকর অবস্থায় দেখার প্রত্যাশা করছি। আমরা আরও আশা করছি যে, বাংলাদেশের সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং সকল সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণের ভোট দেয়ার অধিকারকে সম্মান জানাবেন এবং স্বচ্ছতা ও সততার সাথে ভোট গণনা করবেন।”
যৌথ বিবৃতিতে সই করেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া প্রিফন্টেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা শ্লিয়েটার, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন, নেদারল্যান্ডসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জেরোইন স্টেগস, অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পেনি মর্টন ও সুইজারল্যান্ডের চার্জ দ্য অ্যফেয়ার্স সুজান মুলার।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর জন্য বিদেশি কূটনীতিকদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, “বেশ কিছু বিদেশি কূটনীতিক ব্রিটিশ হাইকমিশনে মিলিত হয়েছিলেন। তারা নিজেদের কাজ বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলাচ্ছেন, যা একবারেই উচিত নয়। কূটনীতিকরা এসব বিষয়ে কোড অব কন্ডাক্ট মেনে কাজ না করলে তাদের দেশ থেকে চলে যেতে অনুরোধ জানানো হবে।”
ঢাকা সিটি নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বুধবার ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসায় কূটনীতিকদের বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
একইদিন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেন, “মান্যবর রাষ্ট্রদূতদের যথেষ্ট সম্মান করি। বাংলাদেশের মতো এত আদর-যত্ন কেউ করে না। সেটা তো অব্যাহত থাকবে। কিন্তু আতিথেয়তা মানে এই নয় যে, কেউ সেটির সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করবে।”
আওয়ামী লীগের অভিযোগের বিষয়ে সিইসি কে এম নূরুল হুদা অবশ্য বলেছেন, কূটনীতিকদের কোনো বাড়াবাড়ি তাদের নজরে আসেনি।#
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ