নিউজ ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ। ৫ তারিখের মধ্যে ম্যাডামের স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেওয়া হয়নি।সরকার আদালত অবমাননা করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আদালত অবমাননা করেছেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন সরকার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওপর এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল বৃহস্পতিবার।
এদিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চে প্রতিবেদন জমা দিতে সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদনটি জমা এবং এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।
এরই এক পর্যায়ে হইচই শুরু করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এতে বিব্রত হয়ে বিচারপতিরা এজলাস কক্ষ ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান। এরপর আদালতে অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় হট্টগোল করেন বিএনপিপন্থি আইজীবীরা।
কিছু সময় বিরতির পর আবার শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১২ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৮ ডিসেম্বর করার আবেদন জানান। তবে আপিল বেঞ্চ জানিয়ে দেন সেটি সম্ভব নয়।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে। এমন পরিস্থিতি আমরা আগে কখনও দেখিনি।’
গত ২৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিল করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ