সেলিম আহমেদ তালুকদার : সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঈনুল হক কলেজের দুই ছাত্রীকে কোদালের হাতল দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমীন নাহার রুমাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক।
কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে পেটানোর ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এ কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মইনুল হক কলেজে এইচ এস সি ২০১৮-১৯ ইং শিক্ষাবর্ষে ১৬০ জন পরীক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেয়।তার মধ্যে ৬৫ জন পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয় এবং বাকিরা অকৃতকার্য হয়। পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীরা এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশ নিতে তাদেরকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য অধ্যক্ষ ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হকের দ্বারস্থ হন। তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ পুনরায় শুধু ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্রের পরীক্ষার সুযোগ দেন। সে পরীক্ষায়ও অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা ৫০ নম্বরের মধ্যে মাত্র ৩ থেকে ৬ পর্যন্ত নম্বর পায়। তখন তিনি তাদেরকে বোর্ড পরীক্ষায় অংগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
পরে আবারো অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে কলেজে যায়। কলেজে এ সময় অধ্যক্ষ কোদাল হাতে ফুলের বাগানের পরিচর্যার কাজ করছিলেন। ফেল করা শিক্ষার্থীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তিনি উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে সাথে থাকা কোদালের হাতল দিয়ে শিক্ষার্থী দু’জনকে আঘাত করেন। আহত এ দুই শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহত এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষ নাঈমা আক্তার জানায়, টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার জন্য অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি তাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে মাটি কাটার কোদালের হাতল দিয়ে তাদের দুজনকে আঘাত করেন। অপর আহত শিক্ষার্থী তাসলিমা খানম একই কথা বলেন।
সময় জার্নাল/সুনামগঞ্জ/আরইউটি/
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ