ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি: ঢাকা কলেজের ১৩-১৪ ব্যাচের ফল প্রার্থী রাজিব। রোগাক্রান্ত হয়ে জন্মের এক বছর পর থেকেই দৃষ্টি হারিয়েছেন নারায়নগঞ্জের ২৬ বছরের এই যুবক। ফলে পৃথিবীর রঙ ভালো করে দেখা হয়নি, নিজের জন্মদাতা-দাত্রীকে দেখতে কেমন তাও মনে করতে পারেন না। পরিবারে অভাব অনটনের মাঝে কষ্ট করে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন একটা সুন্দর ভবিষ্যতের আশায়।
কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসে ৩১৮ নং রুমে রাজিব সময় জার্নালের সাথে কথা বলেন।
এসময় রাজিব বলেন, যাদের ভেতরে লেখাপড়া নাই তারা অন্ধ, আমরা না! আমার যোগ্যতা থাকলে চাকরি পাবো কিন্তু অন্ধ বলে আমাকে অনেক জায়গায় বিড়ম্বনা আর বৈষম্যের শিকার হতে হয়, এটা খুব কষ্টের।
তিনি বলেন, ভালো একটা চাকরির আশায় পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে প্রতিটি জায়গায় অন্ধরা বৈষম্যের শিকার হই, এ জন্য সচেতনতা খুবই দরকার। লোকে বলে তুমি স্নাতকোত্তর করে কি করবে? অন্ধকে চাকরি দিবে কে!
উল্লেখ্য, গত বছর ২০ নভেম্বর আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে একটি ল্যাপটপ পান রাজিব।
কোটা বাড়ানোর দাবি করে সময় জার্নালকে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অন্ধদের জন্য সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েলেও বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১শতাংশ কোটা রয়েছে। তা বাড়িয়ে যেন ১০শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। কেননা প্রতিবন্ধীদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ দিলে আমরাও দেশের সম্পদ হয়ে উঠব, কারো বোঝা হয়ে থাকবো না।
রাজিব সম্পর্কে আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের দায়িত্বরত তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক রেজাউল করিম বয়াতী বলেন, রাজিব খুবই মেধাবী ছাত্র। ছাত্রাবাসে তার কোন সমস্যা হয় না। রাজিবের মত যারা রয়েছে তাদের জন্য আমাদের কলেজে আলাদা রুম রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের সাহায্য করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এর জন্য সমাজে সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সময় জার্নাল/ ফখরুল ইসলাম ফাহাদ
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ