আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সমাজে এখনো প্রচলিত কুসংস্কার প্রথার প্রচলন রয়েছে। সূর্যগ্রহণ কিংবা চন্দ্রগ্রহণ চলার সময় অনেকেই কোনো খাবার বা পানীয় গ্রহণ করেন না।
গর্ভবতীরা বাইরে বের হন না, অনেকেই বিছানায় বিশ্রাম নেন না। এদিন ভ্রমণেও বের হন না কেউ কেউ। অনেকে এদিন বিভিন্ন রীতি পালন করে থাকেন।
তবে বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে এসে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এসব কুসংস্কার এখন অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। ২০১৯ সালের শেষে এসেও যে এসব কুসংস্কারের চেয়ে ভয়ংকর কিছু করা হবে তা ভাবনার বাইরে।
গতকাল হয়ে গেল এ বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ বলয় গ্রাস। এদিন ভারতের কর্নাটকে শিশুদের গলা পর্যন্ত পুঁতে রাখা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এমন একটি ছবি।
ছবিতে দেখা গেছে, তিন শিশুর দেহ মাটির মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। শুধু বেরিয়ে আছে তাদের মাথাটুকু। পরিবারের লোকজন পুঁতে রাখা এ তিন শিশুর পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদিকে মাটির ভেতর বন্দি হয়ে আতঙ্কে কাঁদছে ওই তিন শিশু।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ভারতের কর্নাটকের কালাবুরাগি জেলার একটি গ্রামে ঘটেছে এমন অদ্ভুত ঘটনা।
সূর্যগ্রহণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ওই তিন শিশু শারীরিকভাবে কিছুটা অক্ষম। ওই গ্রামবাসীর বিশ্বাস, গ্রহণের এ সময় তাদেরকে এ ভাবে রাখলে প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তি পাবে তারা।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এ খবরে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা। একবিংশ শতাব্দীতে এসে ও এমন অন্ধবিশ্বাসে ডুবে আছে মানুষ তা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেকে।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ