নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় কক্সবাজার উপকূলে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার ফলে সেন্টমার্টিনে প্রায় ১২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ। তবে তারা নিরাপদ রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ৩ নম্বর সংকেত ঘোষণার পর বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নোটিশ দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বৃহস্পতিবার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকে রাত্রি যাপনের জন্য থেকে গেছেন। হঠাৎ বৈরি আবহাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ায় তারা আটকে গেছেন।
স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত তাদের পরিচ্ছন্নভাবে হয়রানিমুক্ত আতিথেয়তা দিতে হোটেল কর্তৃপক্ষকে বলা আছে। আমি নিজেই রাতে এবং সকালে হোটেলগুলোতে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে পর্যটকদের আতঙ্কিত না হতে আশ্বস্ত করেছি।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল কয়েকটি হোটেল রয়েছে। কঠিন দুর্যোগ বা জলোচ্ছ্বাস হলেও আটকে পড়া পর্যটকদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। সংকেত বাড়লে আমরা তাদের এসব স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে চলাচলকারী কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজের ইনচার্জ মো. শাহ আলম জানান, সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত ওঠার পরই শুক্রবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকে সংকেত বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তাই জাহাজ সেন্টমার্টিনের পথে যায়নি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানায়, সাগরে এখন ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধসহ সমুদ্রে সকল ধরণের নৌযানকে নিরাপ আশ্রয়ে আসতে বলা হয়েছে।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ