নিউজ ডেস্ক: ঢাকার ধামরাইয়ে স্ত্রীর সহযোগিতায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে স্বামী মোকছেদ আলী। এ মামলায় স্ত্রী উজলা বেগম গ্রেপ্তার হওয়ার পর পলাতক স্বামীকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী (১৩) অন্তসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়েরের ১৩ দিন পর ধর্ষক মোকছেদ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭নভেম্বর) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ধামরাই থানা পুলিশ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মোকছেদ আলীকে নবীনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় এর আগে তার স্ত্রী উজলা বেগম এবং আলামিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।
৩০ জুলাই রাতে স্ত্রীর সহযোগিতায় এক স্কুলছাত্রীকে টিভি দেখার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে মোকসেদ আলী। পরে ওই ছাত্রী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে ২১ অক্টোবর পরিবার কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মেম্বার ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন বিচারের নামে ১ লাখ ৮০ হাজার জরিমানা করে টাকা হাতিয়ে নেয় এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে চুপ থাকার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত ধর্ষক মোকসেদ আলীর স্ত্রী উজালা বেগমকে (৪৫) ও আলামিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অপর আসামিরা হলো ঢাকার ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের মুন্সীরচড় পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. মোকসেদ আলী (৫০), তার স্ত্রী উজালা বেগম (৪৫), চৌহাট ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফারুক হোসেন (৪৮), আলামিন (৪০), দরবার আলী (৬০), চান মিয়া (৫৫) ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানাধীন চর সাটুরিয়া এলাকার জসিম (৫০)।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ