নিউজ ডেস্ক: কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. জিলান মিয়া সরকার বলেছেন, আমি প্রায়ই ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) দেখতে যাই। শনিবার পৌনে এক ঘণ্টা ম্যাডামকে দেখেছি। ম্যাডামকে হাসিখুশি দেখেছি। তিনি খুব ইম্প্রেসিভ, সব সময় হাসিমুখে কথা বলেন।
সোমবার দুপুরে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যাল (বিএসএমএইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলনে জিলান মিয়া সরকার এ তথ্য জানান।
খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত খবরাখবরও রাখেন জানিয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক জিলান মিয়া সরকার বলেন, ‘আমি দু’দিন ছুটিতে ছিলাম, তখন তাকে দেখতে যেতে পারিনি। ছুটিতে যাওয়ার আগে তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। আমার নাতি হয়েছে (ছেলের সন্তান)। ছুটি শেষে যখন তাকে (খালেদা জিয়া) দেখতে গিয়েছিলাম, তখন তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার ছেলের বউয়ের কী সন্তান হয়েছে। তখন আমি তাকে বলি নাতি হয়েছে।’
‘পরে খালেদা জিয়া আমার নাতির জন্য দোয়া করেন’-যোগ করেন জিলান মিয়া সরকার।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বলেন, ‘রোগীর সঙ্গে কথা বলে একজন মেডিক্যাল পার্সন যে জিনিসটি বুঝতে পারবেন সেটি অন্য কেউ শুনলে তা অতিরঞ্জিত মনে হবে। যারা তার স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলছেন, তারা আমার সঙ্গে অথবা মেডিক্যাল বোর্ডের কোনো চিকিৎসকরের সঙ্গে কথা না বলেই অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করছেন।’
তিনি বলেন, ‘রোগীর ব্যাপারে চিকিৎসকদের মনোভার অনেক আন্তরিক। আমাদের চিকিৎসক বোর্ডের সদস্যরা তাকে (খালেদা জিয়া) যথেষ্ট স্বচ্ছভাবে, যত্ন নিয়ে দেখছেন। চিকিৎসকরা প্রতিদিনই তার খবর নেন।’
উল্লেখ্য, দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে কারাগারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত ২ এপ্রিল থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর কক্ষে কারা তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। বিএনপি দাবি খালেদা জিয়া সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমনকি টানা ১৫ দিন তাকে দেখতে কোনো চিকিৎসক যাননি।
ফেসবুকের মাধ্যমে মতামত জানানঃ